সর্বশেষ
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
পতিত জমিতে ধান চাষ করে প্রশংসায় ভাসছেন দেবীগঞ্জ বিএডিসি ফার্ম
রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিয়মিত প্রকাশ করে যাচ্ছে আজকের বসুন্ধরা ১৭তম বর্ষপূর্তি অনুুষ্টানে -সোহেল রানা
মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২
চাকরি না পেয়ে হতাশায় ক্ষোভে ফেসবুক ফাইভে এসে সমস্ত একাডেমিক সার্টিফিকেট ছিড়ে ফেলল নীলফামারীর যুবক ।
শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল বিক্রি বন্ধ কবে, জানাল বিআরটিএ
দেশে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে চালকের লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল বিক্রি ও নিবন্ধন বন্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বৃহস্পতিবার বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বিমামা) পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিআরটিএ গত ৫ জুলাই মোটরসাইকেলের নিবন্ধন পাওয়ার জন্য চালকের লাইসেন্স থাকার শর্ত আরোপ করে। এর আগে, ২০১৯ সালের ১৬ জুন থেকে মোটরসাইকেল কেনার সময় শিক্ষানবিশ লাইসেন্স দেখানোর নিয়ম চালু করা হয়।
বিআরটিএ’র প্রকৌশল শাখার পরিচালক শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিমামার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু শিক্ষানবিশ (লার্নার) লাইসেন্স দেখিয়ে মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সময়সীমা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। ১৫ ডিসেম্বর থেকে মোটরসাইকেল কিনতে গেলে চালকের পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স দেখাতে হবে।
বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারাদেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল আছে ৩৭ লাখ ৯০ হাজার ১৪২টি। নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের মধ্যে শুধু ঢাকায় চলাচল করে ৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৮০টি।
সুড়ঙ্গে ঢুকেই অদৃশ্য ট্রেন, ১১০ বছরেও খোঁজ মেলেনি
১৯১১ সাল। ঠিক ১১০ বছর আগে ধুমধাম করে ঐ ট্রেনের সূচনা করেছিল ইটালির জেনেটি নামে একটি রেল সংস্থা। উদ্বোধনের দিন সব যাত্রীদের বিনা টিকিটে ঘোরানোর ব্যবস্থা করেছিল সংস্থাটি।
ছয়জন রেলকর্মী এবং ১০০ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। কিন্তু গন্তব্যে আর পৌঁছনো হয়নি তার। মাঝ পথে রহস্যজনক ভাবে আস্ত ট্রেনটিই গায়েব হয়ে যায়! আজ পর্যন্ত যার কোনো খোঁজ মেলেনি। খোঁজ পাওয়া যায়নি যাত্রীদেরও। ১১০ বছর আগের সেই দিনের কথা ভাবলে আজও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। এতগুলো যাত্রী নিয়ে আস্ত ট্রেন কীভাবে মুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে তার কারণ অনুসন্ধান করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। শোনা যায়, অনেক খুঁজেও ট্রেনের কোনো চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
১৯১১ সালে রোমের একটি স্টেশন থেকে ১০০ যাত্রী এবং ঐ ছয় কর্মী নিয়ে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। যাত্রীরা সবাই খুব উপভোগ করছিলেন যাত্রা। যাত্রীদের জন্য ট্রেনে এলাহি খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। উদ্দেশ্য ছিল ট্রেনে করে যাত্রীদের ইটালির বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখানো। যাত্রাপথে একটি সুড়ঙ্গ পড়েছিল। ট্রেন সেই সুড়ঙ্গে প্রবেশ তো করেছিল কিন্তু আর বার হয়নি। পরবর্তীকালে ট্রেনের সন্ধানে সুড়ঙ্গের মধ্যে অনেকেই গিয়েছেন। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
পাহাড়ের বুক চিরে তৈরি হওয়া ঐ সুড়ঙ্গের ভেতরে আর কোনো রাস্তাও ছিল না। ট্রেন দুর্ঘটনারও কোনো চিহ্ন মেলেনি। ট্রেনের মধ্যে মোট ১০৬ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে দুইজনের সন্ধান পরবর্তীকালে পাওয়া গিয়েছিল। সুড়ঙ্গের বাইরে থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই সময় প্রকাশিত খবর অনুয়ায়ী, অগোছালো কথা বলছিলেন তারা। ঐ ঘটনা সম্বন্ধে বিশদে সে ভাবে কিছুই জানাতে পারেননি তারা। দুইজনের কথার বিষয়বস্তু ছিল একই। সুড়ঙ্গে প্রবেশের মুহূর্তে সাদা ধোঁয়া গ্রাস করেছিল ট্রেনটিকে। সেই সময় নাকি কোনোক্রমে দুইজনে ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। তারপর আর কিছু মনে ছিল না তাদের।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা পড়ে সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খোঁজও থামিয়ে দিতে হয়। এর অনেক বছর পর ট্রেনটিকে ঘিরে এমন কিছু ঘটনা বা তথ্য সামনে আসতে শুরু করে যা জানলে আরো হতচকিত হয়ে যেতে হয়। মেক্সিকোর এক চিকিৎসক দাবি করেন, অনেক বছর আগে মেক্সিকোর একটি হাসপাতালে নাকি ঐ ১০৪ জন যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। প্রত্যেকেই কোনো একটি ট্রেনের উল্লেখ করেছিলেন। সেই ট্রেনে করেই নাকি তারা মেক্সিকো পৌঁছেছিলেন।
এমনকি ইটালির বিভিন্ন প্রান্তে, জার্মানি, রোমানিয়া এবং রাশিয়াতেও নাকি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ ঠিক ঐ রকমই একটি যাত্রিবোঝাই ট্রেন দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করতে শুরু করেছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা ট্রেনের যে বর্ণনা দিয়েছিলেন তা হুবহু ঐ অদৃশ্য হওয়া ট্রেনটির মতো ছিল। সেই সময় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ট্রেনটি নাকি টাইম ট্রাভেল করে ১৮৪০ সালের মেক্সিকোয় পৌঁছে গিয়েছিল।
যদিও এই সব দাবির স্বপক্ষে কোনো জোরালো প্রমাণ মেলেনি। ফলে ট্রেনকে ঘিরে টাইম ট্রাভেলের যে কাহিনী ছড়িয়ে পড়ে তাতেও সিলমোহর দেওয়া যায়নি। তা হলে ট্রেনটির কী হলো? ট্রেনের ঐ ১০৪ জন যাত্রীই বা কোথায় গেলেন? যত সময় এগিয়েছে এই প্রশ্নগুলো আরো জোরালো হয়েছে। বন্ধ সুড়ঙ্গের ভেতরে বন্দি হয়েই রয়ে গিয়েছে ‘ভূতুড়ে ট্রেনের’ রহস্য।
যে চার কারণে মেয়েরা স্বামীকে সন্দেহ করে
দাম্পত্য জীবন সুখময় হয়ে ওঠে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্মান ও সহমর্মিতার ওপর নির্ভর করে। একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা ও সহানুভূতি যত গভীর হয়, দুজনের বন্ধনটাও যেন তত দৃঢ় হতে থাকে।
আর যখনই এই সম্পর্কে বিশ্বাস ও ভালোবাসার বদলে অনুপ্রবেশ করে অবিশ্বাস ও সন্দেহ, তখনই দুজনের মধ্যে বাড়তে থাকে দূরত্ব। যার ফলাফল দাম্পত্য কলহ, নির্যাতন এবং অবশেষে পারিবারিক ভাঙন। অধিকাংশ দাম্পত্য কলহের সূত্রপাত হয় স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের প্রতি সন্দেহ থেকেই। তবে সন্দেহ করে বলেই একটি সম্পর্ক ভেঙ্গে দিতে হবে এটা কিন্তু সমাধান না। বরং সম্পর্ক টিকে রাখার উপায় বের করতে হবে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক নিজেকে স্ত্রীর সন্দেহ দূর করতে যা করবেন সে সম্পর্কে-
নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা কমে যাওয়া
আপনার দাম্পত্য জীবনের কয়েক মাস হোক বা বহু বছর, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাবার্তা হওয়া দরকার। কোনো সমস্যা হলে নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নেয়া ভালো। ব্যস্ততার কারণে পুরুষরা যদি স্ত্রীর সঙ্গে কম কথা বলে, তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হতে বাধ্য।
মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব
বন্ধুত্ব হলো এমন একটি সম্পর্ক যা বিয়ের পরও টিকে থাকে, সাধারণত একজন পুরুষ যখন কোনো নারী বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে, তখন প্রায়ই তার স্ত্রী ঈর্ষা বোধ করতে শুরু করে, যার কারণে মারামারি বেড়ে যায়। এর জন্য এটা প্রয়োজন যে স্বামী তার স্ত্রীকে আশ্বস্ত করে যে সে তার জন্য যে কোনো বন্ধুর চেয়ে বেশি।
সারাক্ষণ মোবাইলে লেগে থাকা
প্রত্যেক স্ত্রীই চায় তার স্বামী বাড়িতে এলে তার সঙ্গে কথা বলুক এবং তাকে মানসম্পন্ন সময় দেবে, কিন্তু অনেক পুরুষই মোবাইলের প্রতি তাদের সংযুক্তি ত্যাগ করতে এবং এই গ্যাজেটের সঙ্গে লেগে থাকতে পারে না। পুরুষরা যদি মোবাইল দেখে বেশি হাসেন, তাহলে স্ত্রীর সন্দেহ বহুগুণ বেড়ে যায়। সেজন্য ফোনের চেয়ে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বেশি সময় কাটানো ভালো।
প্রাক্তনের সম্পর্কে কথা বলা
যদিও বিয়ের আগে আপনার অনেক সম্পর্ক ছিল, কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে যে কোনো পুরুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিটি হওয়া উচিত তার স্ত্রী। ভালো হয় যখনই আপনি স্ত্রীর সঙ্গে বসবেন, আপনার প্রাক্তন প্রেমিকার সম্পর্কে কথা বলবেন না, অন্যথায় স্ত্রী অনুভব করবে যে আপনি এখনও তাকে মিস করছেন এবং এটি ভুলে যাওয়া কঠিন। নারীর মনে সন্দেহ সৃষ্টির এটি একটি বড় কারণ।
ফেসবুক অযথা স্ক্রল করতে নিষেধ করলেন জাকারবার্গ
বেশির ভাগ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ব্যয় করেন ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ। তিনি বলেন, আমি চাই না মানুষ কোনো কারণ ছাড়াই কম্পিউটারের সামনে বসে অযথা সময় পার করুক। বরং স্ক্রিনে যে সময়টা দিচ্ছে তা যেন অর্থবহ ও সঠিক ব্যবহার হয়।
মার্ক জাকারবার্গ শুধু স্ক্রল করতে করতে সময় অপচয় করেন না তিনি। জাকারবার্গ মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যখন যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়, তখন এটি খুবই ভালো।
সম্প্রতি জো রোগান এক্সপেরিয়েন্স পডকাস্টে এ বিষয়ে কথা বলেন মেটার সিইও। তিনি বলেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারের মতো প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীদের উপকারে আসতে পারে, যদি এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রাথমিকভাবে অন্যদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে ব্যবহৃত হয়।
তিনি আরো বলেন, আপনি যদি সেখানে শুধু বসে থাকেন এবং যা দেখেন তাই গ্রহণ করেন তাহলে হবে না। এটা একেবারেই অপ্রয়োজনীয় বলছি না। কিন্তু মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক বা যোগাযোগ গড়ে তুললে অবশ্যই ইতিবাচক সুবিধা পাবেন।
জাকারবার্গ দাবি করেছেন, ফেসবুক ও মেটাভার্স নিয়ে তার লক্ষ্য, মানুষকে ইন্টারনেটে আরো বেশি সময় ব্যয় করতে দেওয়া নয়। বরং তিনি চান ইতিবাচক কোনো কাজে ইন্টারনেটে প্রত্যেকের সময়কে আরো সক্রিয় করে তোলার জন্য।
শুধুমাত্র জাকারবার্গই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অতিরিক্ত ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করেছেন তা নয়। গবেষকরা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অত্যধিক ব্যবহার কিছু ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিষণ্নতা এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন যে, এটি শুধুমাত্র তখনই সত্য যদি লোকেরা অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে শুধুমাত্র স্ক্রল করার জন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে।
ঘরোয়া উপায়ে দূর করুন পাইলসের সমস্যা
পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া উপায়েই দূর করুন যন্ত্রণা! এবার এই রোগের জ্বালা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি ঘরোয়া টোটকাও ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে ব্যথা জায়গায় আইস প্যাক, অ্যালোভেরা লাগালেও সমস্যা কমে। এমনকী চিকিৎসার প্রয়োজনও হয় না।
পাইলস বা অর্শরোগে অনেকেই যন্ত্রণা ভোগ করেন। এটি খুব পরিচিত একটি সমস্যা। সমীক্ষা বলছে, ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। তবে কমবয়সীদের মধ্যেও এখন এই রোগ বাড়ছে। জীবনযাত্রায় অনিয়ম ও অপুষ্টিকর খাবার খাওয়া এই রোগের অন্যতম কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস বা হজমের সমস্যার কারণে পাইলসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া পরিবারে কারও এই সমস্যা থাকলে পরবর্তী সময়ে তা অন্যদেরও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাইবারযুক্ত খাবারের অভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা, গর্ভাবস্থায়, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকার অভ্যাসসহ বিভিন্ন কারণে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পরে।
পাইলসের চিকিৎসা সাধারণত ওষুধ বা অস্ত্রপচারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি কয়েকটি নিয়ম মেনে ঘরোয়া উপায়েও পাইলসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক করণীয়-
>>> ঘরোয়া উপায়ে পাইলসের সমস্যা সারাতে নিয়মিত বরফ ব্যবহার করুন মলদ্বারে। বরফ রক্ত চলাচল সচল রাখে ও ব্যথা দূর করে। একটি কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট রাখুন। দিনে বেশ কয়েকবার করলে পাইলসের ব্যথা দ্রুত সারবে।
>>> বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি তুলোর বলে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যথার স্থানে লাগিয়ে নিন। শুরুতে কিছুটা জ্বালাপোড়া হলেও কিছুক্ষণ পর কমে যাবে। এই পদ্ধতি দিনে বেশ কয়েকবার করুন।
এছাড়া নিয়মিত এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। এটি অনেক রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে।
>>> এখন জামের মৌসুম। এই ফল পাইলসের সমস্যা সারাতে বেশ কার্যকরী। এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা পাইলসের সমস্যা সারায়। পাইলসের রোগী দিনে ২-৩টি জাম খেলে ধীরে ধীরে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবেন।
>>> পানিশূন্যতার কারণেও পাইলসের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এর পাশাপাশি আদাকুঁচি, লেবু ও মধু মিশিয়ে দিনে অন্তত দুইবার খেলে অর্শরোগ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।
>>> এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। প্রতিদিন এক চা চামচ অলিভ ডেয়েটে রাখলে পাইলসের সমস্যা কাটিয়ে উঠবেন আস্তে আস্তে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তেল শরীরে প্রদাহ দ্রুত কমায়। অর্শরোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রেও এটি খুবই কার্যকরী।
বিএনপি নেতারা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের দালালি করছে: সেতুমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের দালালি করছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যে আবারো বিএনপির দেশবিরোধী অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আমলে নাকি উনারা আরো ভালো ছিলেন- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বিএনপির চিরাচরিত বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান ও স্বাধীনতাবিরোধী অপরাজনীতির গোপন অভিসন্ধির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, প্রগতি ও দেশপ্রেমে বিশ্বাসী কোনো ব্যক্তি কিংবা সংগঠন এমন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী মন্তব্য করতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতাদের এ ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে- তারা এখনো মহান স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে বাংলাদেশে পাকিস্তানি ধারার রাজনীতি প্রবর্তন করতে চায়। বাংলাদেশের অগ্রগতি, সাফল্য, উন্নয়ন ও অর্জন যখন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত- তখন বিএনপি নেতারা পাকিস্তান আমলের প্রশংসা করে।যেখানে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ও গণমাধ্যম বাংলাদেশের অগ্রসরমান অর্থনীতির প্রশংসা করছে। তখন বিএনপি নেতারা নির্লজ্জভাবে পাকিস্তানের দালালি করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক ও পারিবারিকভাবে পাকিস্তানি দর্শনের রাজনীতিকে লালন করে। তারা স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও ‘পেয়ারে পাকিস্তান’ মন্ত্র জপছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল ও ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি। তার এ ধরনের বক্তব্য বিএনপিসহ একটি মহলের বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প দেখলে বিএনপি মেগা-যন্ত্রণায় ভোগে। কারণ, বিএনপির সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি এতটাই নাজুক অবস্থায় ছিল যে, তারা দেশে কোনো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মানসিকতা, সাহস, দক্ষতা এবং আর্থিক সামর্থ্যের কথা চিন্তাও করতে পারেনি। কারণ, তারা দুর্নীতি ও লুটপাটে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ মঙ্গা-খরা ও দারিদ্র্যকে জয় করে উন্নয়নের নতুন অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানি প্রেতাত্মা ও ষড়যন্ত্রকারীরা যতই অপচেষ্টা চালাক না কেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলার জনগণ দেশবিরোধী সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে উন্নয়নের এই অভিযাত্রা অব্যাহত রাখবে। আগামী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি উন্নত-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র বিনির্মাণে সক্ষম হবো।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই: চিফ হুইপ
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। করোনার সময়ে যেখানে কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী কারো সঙ্গে দেখা করেন নাই। সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাজেট পাস করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
চিফ হুইপ বলেন, আমরা দ্রুত ঢাকার সঙ্গে বাজার তৈরি করবো। অল্প সময়ের মধ্যে আমরা মালামাল পরিবহন করতে পারবো। কৃষিতে শিবচরে ভালো উৎপাদন হয় পেঁয়াজ এবং পাট। এ দুটোই দামি ফসল। কিভাবে আরো ভালো করা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের ৪০০ বেশি দুগ্ধ খামার হয়েছে। এছাড়া ইলিশের বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে। এ সম্পদ রক্ষায় কঠোরভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই বছর আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। করোনার পিক সময় আমরা পার করেছি। বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের জন্য আমাদের ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এখনো চলমান। আগামী দিনে পৃথিবীতে কী হবে তা কেউ বলতে পারে না।
নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জীবনযাত্রার অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সেই তুলনায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা ভালো আছি। আমাদের ফসল, মৎস্য, কৃষিসহ অন্যান্য খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারলে আমরা না খেয়ে মারা যাবো না। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- এক টুকরো জমিও ফাঁকা রাখা যাবে না। কৃষিকাজ করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক মুনির চৌধুরী, শিবচরের ইউএনও রাজিবুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান প্রমুখ।
৯ নিত্যপণ্যের দাম নির্ধারণ সাতদিনের মধ্যে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের বাজারে ৯টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেবে সরকার। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আগামী সাতদিনের মধ্যে নতুন এ দাম নির্ধারণ হবে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, দাম নির্ধারণের সময় এরই মধ্যে ১৫ দিন পেরিয়ে গেছে। এ কারণে আগামী সাতদিনের মধ্যে নতুন দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মুরগির খাদ্য, পরিবহন খরচ ও অন্যান্য দাম বিবেচনায় রেখে ডিমের দাম যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করে দেবে মন্ত্রণালয়। এছাড়া খাদ্যপণ্য, তেল ও স্টিলসহ আরো বেশ কিছু পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হবে।