মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩

মধুপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আরো যোগাযোগ বান্ধব হবে: প্রতিমন্ত্রী

মধুপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আরো যোগাযোগ বান্ধব হবে: প্রতিমন্ত্রী


মধুপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আরো নিরাপদ ও যোগাযোগ বান্ধব হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

সোমবার ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘মধুপুর-ময়মনসিংহ জাতীয় মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্তায় উন্নীতকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জেলা প্রশাসন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান এবং সে মোতাবেক নির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। 

জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কে বি এম সাদ্দাম হোসেন, ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর পক্ষে এ বি এম আশরাফুজ্জামান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পারভেজুর রহমান, মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম লুৎফর রহমান, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সাব রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন খন্দকার, ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আলম, ময়মনসিংহ গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম কামরুজ্জামান, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

‘নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই’

‘নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই’


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের ব্যাপারে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। যদিও অনেক উন্নত দেশ এগুলো নেয় না। কিন্তু আমাদের এটা নিতে কোনো আপত্তি নেই। আমরা তাদের (পর্যবেক্ষকদের) স্বাগত জানাই। তারা এসে দেখুক, আমাদের দেশে কত সুন্দর, স্বচ্ছ, আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন হয়। ওদের দেশে এত আনন্দময় পরিবেশে নির্বাচন হয় না। 

সোমবার জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এ কথা বলেন তিনি।

এ সময় বিদেশি পর্যবেক্ষকরা বাংলাদেশে নির্বাচন দেখে শিখতে পারে বলেও উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা আমাদের দেশের নির্বাচন দেখে শিখুক। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতিসংঘের সহযোগিতা নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

সংসদ নির্বাচনে জাতিসংঘের কোনো সহযোগিতা বাংলাদেশ নেবে কি না, প্রশ্ন রাখেন সাংবাদিকরা। জবাবে মোমেন বলেন, নির্বাচনে সংস্থাটির কোনো সহযোগিতা চায় না বাংলাদেশ। তিনি বলেন, জাতিসংঘের কোনো সহযোগিতা আমাদের নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ আমরা যথেষ্ট পরিপক্ব। নির্বাচন করার জন্য যেসব ইনস্টিটিউশন দরকার, সুন্দর, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সেই ইনস্টিটিউশন আমরা মোটামুটি তৈরি করেছি। 

মোমেন বলেন, আমরা স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করেছি। বায়োমেট্রিক ভোটার তালিকা, যেন কোনো ধরনের ফ্রড বা ভুয়া ভোট না হয়। আমরা একটা শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন তৈরি করেছি। তারা যথেষ্ট সক্ষমতা রাখে। সেজন্য আমাদের অন্যদের কোনো সাহায্যের প্রয়োজন নেই।

পাইলিংয়ের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ নগরবাসী, আইন কী বলে

পাইলিংয়ের বিকট শব্দে অতিষ্ঠ নগরবাসী, আইন কী বলে


রাজধানীতে ভবন নির্মাণে শ্যালো মেশিন ও ডিজেলচালিত ইঞ্জিন দিয়ে চলছে পাইলিংয়ের কাজ। এতে বিধিমালার নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে আড়াই গুণ বেশি শব্দ সহ্য করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। ফলে আইন না মেনে পাইলিংয়ের কাজে সৃষ্ট বিকট আওয়াজ মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক প্রভাব ফেলছে শিক্ষার্থী, শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ, বিশেষ করে রোগীদের মধ্যে। এ অবস্থায় আধুনিক হাইড্রোলিক মেশিন ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা বলছেন পরিবেশ-নির্মাণ ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা।

একটি বহুতল ভবন নির্মাণের প্রথম ধাপ পাইলিং। এজন্য ভারী যন্ত্রের মাধ্যমে ভবনের মূল খুঁটিগুলো গেড়ে দিতে হয় এক-দেড়শ ফুট মাটির নিচে। কিন্তু, পুরোনো পদ্ধতিতে পাইলিংয়ের এই কর্মযজ্ঞ তৈরি করে বিকট আওয়াজ। একজনের বাড়ি বানানোর বিকট আওয়াজের মাশুল দিতে হয় এলাকার অনেক মানুষকে। রাজধানীর বেশিরভাগ ভবন নির্মাণেই ব্যবহার করা হয় ডিজেলচালিত ইঞ্জিন ও শ্যালো মেশিন। ফলে কয়েকমাস ধরে জানালা বন্ধ রাখতে হয় আশপাশের বাসিন্দাদের।

‘পাইলিং’ হচ্ছে বিল্ডিং বা স্থাপনার এক ধরনের ফাউন্ডেশন যা স্থাপনার নিচে মাটির গভীরে লোড স্থানান্তর করে স্থাপনাকে দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করে। এটা সাধারণত করা হয়ে থাকে যেসব জমিতে মাটির ভারবহন ক্ষমতা কম কিন্তু স্থাপনাটি বহুতলভিত্তিক। এটাকে স্থাপনার কলামের সঙ্গে তুলনা করা যায় যা মাটির গভীরে স্থাপিত হয়।

পাইলিং কয়েক ধরনের হতে পারে। যেমন- কাস্ট-ইন-সিটু পাইল, স্যান্ড পাইল, প্রি-কাস্ট পাইল, শোর পাইল, টিম্বার পাইল।

এগুলোর মধ্যে কাস্ট-ইন-সিটু পাইল সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। এটা সাধারণত সিলিন্ডারাকৃতির হয়ে থাকে, যার ব্যাস বা ডায়া ১৮ ইঞ্চি থেকে ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এটা আরো বেশি হতে পারে। আর দৈর্ঘ্য  নির্ভর করে মাটির লেয়ারের উপর যা সয়েল টেস্ট রিপোর্টে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বেশিরভাগ বহুতল স্থাপনার ভিত্তিতে এই পাইলিং ব্যবহৃত হয়েছে।

স্যান্ড পাইলের ধারণাটি অপেক্ষাকৃত নতুন হলেও ক্ষেত্রবিশেষে এটি বেশ কার্যকর। সাধারণত কম তলাবিশিষ্ট স্থাপনা যেখানে মাটির ভারবহন ক্ষমতা কম সেখানে স্যান্ড পাইল করে সেটা বৃদ্ধি করা যায়। তবে অনেক তলাবিশিষ্ট ভবনের ক্ষেত্রে এটি ব্যাবহার করা যায় না।

প্রি-কাস্ট পাইলের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ পাইল আগে কাস্টিং বা ঢালাই করা হয় সুবিধামতো স্থানে (মাটির অভ্যন্তরে নয়)। এরপর এটি মেশিনের সাহায্যে বা হ্যামারিং করে সাইটের ভূমিতে যথাস্থানে ঢোকানো হয়।

শোর পাইল করা হয় মাটির পার্শ্বচাপ প্রতিরোধ করার জন্য। যেই সমস্ত স্থাপনায় বেসমেন্ট থাকে, কিংবা অন্য কোনো কারণে মাটি কাটতে হয়, সেখানে পাশের মাটি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাই এই ব্যবস্থা করা হয়। এটার সাথে শেয়ার ওয়ালের তুলনা করা যায়। এটা প্রি-কাস্ট বা কাস্ট-ইন-সিটু বা টিম্বার পাইল হতে পারে।

টিম্বার পাইল হলো গাছকে (সাধারণত শাল গাছের কাণ্ড) পাইল হিসেবে ব্যবহার করা। এটা ব্যবহার করা হয় কম তলাবিশিষ্ট ভবনে।

রাজধানীর মিরপুরে কয়েকটি পাইলিং মেশিনের শব্দের মাত্রা পরিমাপ করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। এতে উঠে আসে ভয়াবহ চিত্র।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভোর ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে শুরু হয় পাইলিংয়ের কাজ। তীব্র আওয়াজে দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত হয়। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় অসুস্থ রোগী ও শিশুরা।

তারা আরো বলেন, বাচ্চাদের লেখাপড়াসহ সব দিক দিয়ে ক্ষতি হচ্ছে। আওয়াজে মেজাজ সবসময় চড়া হয়ে থাকে। তবে সেখান থেকে উত্তরণের জন্য বাসা পরিবর্তন করেও লাভ হয় না। কারণ যে এলাকায় যাই সেখানেই ভবন নির্মাণ কাজ চলছেই।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী আবাসিক এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মাত্রা ৫৫ ডেসিবেল হলেও, এই মেশিন সৃষ্টি করছে ১০০ থেকে ১৫০ ডেসিবেল। আবাসিক এলাকায় যে শব্দ হওয়ার কথা তার থেকে দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি।

বিধিমালার গাইড লাইনে বলা আছে, শব্দদূষণ নির্ধারিত মাত্রার বেশি হলে সেটা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। এমনকি ৫৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ দূষণের মধ্যে ১৫ মিনিট বা তার বেশি নিয়মিত থাকলে বধির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
 
আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে শব্দ দূষণমুক্ত পাইলিং করা হয় হাইড্রলিক মেশিনের মাধ্যমে। এ দেশেও বড় স্থাপনা কিংবা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে হচ্ছে এই যন্ত্রের ব্যবহার, কিন্তু সংখ্যায় খুবই কম। কারণ, পয়সা বাঁচাতে ডিজেল মেশিনই বেশি পছন্দ বাড়িওয়ালাদের।

আধুনিক হাইড্রলিক মেশিনে পাইলিং করার জন্য প্রতি বর্গফুটে খরচ হয় ৬০০ টাকা। আর শ্যালো মেশিন ও ডিজেলচালিত ইঞ্জিন দিয়ে পাইলিংয়ে খরচ হয় ২০০-২৫০ টাকা। ভবন নির্মাণকারীরা খরচ বাঁচাতে গিয়ে ব্যাপক শব্দদূষণ করছে, এর মূল্য কে দেবে? সেটাই এখন প্রশ্ন।

নগর পরিকল্পনাবিদ ইকবাল হাবিব বলেন, নির্মাণ শিল্পে শ্রমিক এবং প্রতিবেশ সুরক্ষার যে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে সেই বিষয়ে বিধিমালা তৈরি করা সত্ত্বেও এটি কার্যকর করার জন্য কোনো কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা না থাকার কারণে আমরা যাচ্ছেতাইভাবে শ্রমিকের নিরাপত্তা সাংঘাতিকভাবে অবহেলা করি। একই সঙ্গে পরিবেশ ও প্রতিবেশ ধ্বংসকারী কার্যক্রম নির্বিচারে চালিয়ে যাচ্ছি। ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহারের কারণে শব্দ দূষণ হচ্ছে। সেই শব্দ প্রতিবেশীরা একেবারেই সহ্য করতে পারছেন না। এটি দেখভাল করবে কে? এই প্রশ্নটি করলে দেখা যাবে শুভঙ্করের ফাঁকি।

আমাদের ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড করা হয়েছে, তার জন্য যে কর্তৃপক্ষ গঠন করার কথা (বাংলাদেশ বিল্ডিং রেগুলেটরি অথরিটি), সেটা করা হয়নি। আপনি দেখবেন এই নির্মাণ কার্যক্রম ও শ্রমিক-প্রতিবেশ সুরক্ষা বিধিমালা করা হয়েছে ২০১৩ সালে। এখন পর্যন্ত সেই কার্যক্রম নিশ্চিত করার জন্য কোনো ধরনের মেকানিজম প্রস্তাব করা হয়নি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) দাঁত কেলিয়ে ক্রমাগত বলে যাচ্ছে যে, ৯০ শতাংশ অবৈধ অথবা অনুমতি নিয়ে সেই অনুযায়ী করা হয়নি। তাদের যে কর্তব্য ছিল, সেটা পালনে অপারগতা-ব্যর্থতাকে তারা দাঁত কেলিয়ে জনগণের সামনে প্রকাশ করতেও দ্বিধান্বিত না। তাহলে এটা করবে কে?

সবশেষে থাকে সিটি কর্পোরেশন, যারা এখন পর্যন্ত মুখের কথায় সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাস্তবে মশা নিধন থেকে শুরু করে পরিবেশ-প্রতিবেশ ধ্বংসকারী নির্মাণের নামে যে কার্যক্রম চলছে, এর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিকারের জন্য তারা জনগণের সরাসরি নির্বাচিত হওয়া সত্ত্বেও এক্সারসাইজ করছে না। যদিও আমরা দীর্ঘদিন দাবি করে তাদের মন্ত্রীর পদমর্যাদা এনে দিয়েছি। তাহলে এটা করবে কে?

অতএব এখন বিধিমালা-আইন সবই গেজেটেড, বাস্তব প্রয়োগে এসবের কোনোটারই দর্শন আমরা দেখি না।

গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে কতগুলো কর্তৃপক্ষ রয়েছে। তারা এগুলোর জন্য দায়ী। একই সঙ্গে পরিবেশ অধিদফতর, যাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবে তাদের লোকবল নেই। তাদের দায়িত্ব হলো এগুলো সম্পাদন করা। তাদের এ বিষয়ে নির্বিকারচিত্ত মনোভাব, এই সংগঠনগুলোকে নির্বিকার থাকায় আরো প্রশ্রয় দিচ্ছে।

শব্দদূষণ বিধিমালা অনুসারে, পরিবেশ অধিদফতরের নির্ধারিত শব্দের মাত্রা ভঙ্গ করলে, ১-৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানার বিধান আছে। কিন্তু দেশে পাইলিংয়ের শব্দ দূষণের ক্ষেত্রে এ আইন প্রয়োগের নজির নেই।

‘বাংলাদেশ জটিল সার্জারি পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে’

‘বাংলাদেশ জটিল সার্জারি পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে’


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ দেশ এখন কিডনি প্রতিস্থাপনসহ জটিল সার্জারি পরিচালনার সক্ষমতা অর্জন করেছে।

সোমবার গণভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন তিনি।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. শরফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলটি গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জনগনকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, কিডনি প্রতিস্থাপন রোগী শামীমা আক্তার ও শবনম সুলতানা এবং কিডনি দাতা সারা ইসলামের মা।

এর আগে, ১৯ জানুয়ারি বিএসএমএমইউ হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলালের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল ক্লিনিক্যালি মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে সংগৃহীত কিডনি দুই রোগীর মধ্যে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন। এটি ছিল দেশে প্রথম ক্যাডেভারিক কিডনি প্রতিস্থাপন।

তারা নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকা ২০ বছর বয়সী রোগী সারা ইসলামের কাছ থেকে কিডনি নিয়েছিল। ১৮ জানুয়ারি বিকেলে তাকে ক্লিনিক্যালি মৃত ঘোষণা করা হয়। সারার মা অপারেশনে সম্মতি দেওয়ার পর কিডনি সংগ্রহ করা হয়।

জীবিত দাতাদের কাছ থেকে কিডনি প্রতিস্থাপন বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে শুরু হয়েছিল। কিন্তু মৃত রোগীর কিডনি নেয়া আইনত সীমাবদ্ধ ছিল।

২০১৮ সালে অঙ্গ দান আইনটি সংশোধিত হয়, যা সংশ্লিষ্ট আত্মীয়দের সম্মতিতে মৃতদের কাছ থেকে অঙ্গ সংগ্রহের অনুমতি দেয়।

নিউইয়র্কে আত্মসমর্পণের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প

নিউইয়র্কে আত্মসমর্পণের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প


নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক পর্নো তারকার মামলায় আত্মসমর্পণের জন্য নিউইয়র্কের ম্যানহাটান কোর্টহাউসে হাজির হবেন তিনি। একদিন আগেই ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে এসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্টর্মিকে ‘হাশ মানি’ দেওয়ার অভিযোগে তদন্তে নেমেছিল ম্যানহাটানের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের কার্যালয়। স্টর্মির অভিযোগ, যৌন সম্পর্কের পর মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাকে ঘুস দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বরাবরই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে অভিহিত করেছেন এবং অ্যাটর্নি ব্র্যাগকে ‘কলঙ্ক’ বলে আক্রমণ করেছেন। ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এই সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদেরই ক্ষতি করবে।

এদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার নিউইয়র্ক সিটিতে পৌঁছানোর পর ট্রাম্প টাওয়ারে তার আইনজীবী সুসান নেচেলেস এবং জো টাকোপিনার সঙ্গে দেখা করেছেন। ট্রাম্পের আইনি দলে নতুন সদস্য টড ব্ল্যাঞ্চ ওই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন কি না তা নিশ্চিত নয়।

ট্রাম্পের অন্যতম প্রতিনিধি অ্যালিনা হাব্বা নিউইয়র্কে সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করার পর জানিয়েছেন, তিনি ভালো আছেন এবং আগামীকাল (মঙ্গলবার) যা করতে হবে, তার জন্য প্রস্তুত।

ট্রাম্প ম্যানহাটনে ন্যায্য বিচার পাবেন কি না জানতে চাইলে অ্যালিনা বলেন, না। আমি মনে করি, এটি খুব কঠিন। আমি এই রাজ্যের ওপর বিশ্বাস রাখতে চাই। কিন্তু আমি এখানে কয়েক বছর ধরে তার জন্য কাজ করছি এবং নিউইয়র্কের আদালতে গিয়েছি। আমি বলতে পারি, এটি অন্য কারও প্রতিনিধিত্ব করার মতো নয়।

নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুয়ান মার্চান সোমবার রাতে এক আদেশে বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিযোগের শুনানি সম্প্রচারের জন্য মিডিয়ার অনুরোধ ছিল। কিন্তু সেটি সম্ভব নয়। বিচারক অল্প কিছু সময়ের জন্য শুনানি কক্ষের ছবি তুলতে অনুমতি দেবেন। এর পরে শুরু হবে শুনানি।

যেভাবে আদায় করবেন রমজানের কাজা রোজা

যেভাবে আদায় করবেন রমজানের কাজা রোজা


নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একক কোনো জাতি-গোষ্ঠীর নবী নন। তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের সব মানুষের নবী এবং রাহমাতুল্লিল আলামিন (সা.)।

উম্মতের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরদ ও ভালোবাসা ছিল অপরিসীম। উম্মতের কল্যাণ সাধনা ছিল তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। উম্মতকে ঘিরে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় কাটতো তার রাতদিন। এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন- لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ

অর্থ: ‘তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রাসূল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়।’ (সূরা: তওবা, আয়াত: ১২৮)

আর তাই বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মতের প্রতিটি বিষয়ে দিয়ে গেছেন সঠিক দিক নির্দেশনা। রমজান রোজা বিষয়ে রাসূল বলেন- ‘যে ব্যক্তি কোনো কারণ বা অসুস্থতা ছাড়া রমজানের রোজা ভাঙে, তার ওই রোজার বিপরীতে সারা জীবনের রোজাও রমজানের একটি রোজার সমমর্যাদা সম্পন্ন ও তার স্থলাভিষিক্ত হবে না।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৭২৩)

তবে অসুস্থতা বা ইসলামি শরিয়ত অনুমোদিত অন্য কোনো কারণে রোজা রাখতে না পারলে তার প্রতিবিধান রয়েছে। তাদের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে- شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِّنَ الْهُدَىٰ وَالْفُرْقَانِ ۚ فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَن كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

অর্থ: ‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোজা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তাআলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৫)

যেভাবে আদায় করবেন রমজানের কাজা রোজা

রোজা ফরজ এমন ব্যক্তি যদি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় অথবা কোনো অসুস্থতা, সফর ও ঋতুচক্র হওয়ার মতো কারণে রোজা ভঙ্গ করে তার জন্য ছুটে যাওয়া রোজার সমপরিমাণ রোজা কাজা করা আবশ্যক। এই ব্যাপারে সব ইমাম একমত। কেননা আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমের সূরা বাকারার ১৮৪-১৮৫ নম্বর , আয়াতে সংখ্যা পূরণ করতে বলেছেন।

হাদিসে এসেছে, এক নারী আয়েশা (রা.) এর কাছে জিজ্ঞাসা করল, ঋতুমতী নারী যখন ঋতু থেকে পবিত্র হয়, তখন কি সে নামাজ কাজা করবে? তিনি বললেন, তুমি কি হারুরি গোত্রের নারী? আমরা তো রাসূলুল্লাহ (সা.) এর যুগে ঋতুমতী হতাম এবং যখন পবিত্র হতাম, তখন আমাদের রোজা কাজা করার নির্দেশ দেওয়া হতো কিন্তু সালাত কাজা করার নির্দেশ দেওয়া হতো না।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ২৩১৮)

যে ব্যক্তি শরীয়ত অনুমোদিত কারণ ছাড়া রোজা ভাঙবে তাকে কাজা আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে কাফফারাও দিতে হবে। তা হলো, দাস মুক্ত করা; সেটা না পারলে লাগাতার দুই মাস রোজা রাখা; সেটা না পারলে ৬০ জন মিসকিনকে খাবার দান করা।

কাজা আদায়ের সময়

পরবর্তী রমজান মাস আসার আগে যতটা দ্রুত রমজানের রোজার কাজা আদায় করতে হবে। বিনা কারণে কাজা আদায়ে বিলম্ব করা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। কারো ওপর যদি রমজানের রোজা কাজা থাকে, তবে সে তা আদায় করবে। অতঃপর শাওয়ালের ছয় রোজার মতো অন্যান্য নফল রোজা আদায় করবে। কাজা আদায় না করে অন্য কোনো নফল আদায় করলেও তা শুদ্ধ হয়ে যাবে- যদিও তা অনুচিত হবে। বছরের যেকোনো দিন রমজানের রোজার কাজা আদায় করা যায়, তবে ঈদের দিনের মতো নিষিদ্ধ দিন, পরবর্তী কোনো রমজান ও মান্নাতের রোজার জন্য নির্ধারিত দিনে তা আদায় করা যাবে না। (সূত্র : আল-ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু : ৩/১০৭-১১৩)

অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে মৃত্যুর রাতে হোটেলে অভিনেত্রী

অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে মৃত্যুর রাতে হোটেলে অভিনেত্রী


ভোজপুরী অভিনেত্রী আকাঙক্ষা দুবে। কয়েকদিন আগেই আত্মহত্যা করেছেন এই অভিনেত্রী। এ নিয়ে এখনো বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আত্মহত্যার রহস্য উন্মোচনে চলছে আইনি প্রক্রিয়া।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ২৫ বছরেই আত্মহত্যা করেন ভোজপুরী অভিনেত্রী আকাঙক্ষা দুবে। বেনারসের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রীর দেহ।

সম্প্রতি পাওয়া গেছে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ আর সেখান থেকেই উঠে এসেছে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন নায়িকা। তবে এর মাঝে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ২৬ মার্চ হোটেলে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয় নায়িকার। সেই তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এসেছে নতুন তথ্য।

যেদিন রাতে আত্মহত্যা করেন আকাঙ্ক্ষা, সেদিন রাতে এক অচেনা ব্যক্তিকে আকাঙ্ক্ষার সঙ্গেই হোটেলে ঢুকতে দেখা যায়। সেই ব্যক্তি প্রায় ১৭ মিনিট ছিলেন আকাঙ্ক্ষার রুমে। কে সেই ব্যক্তি- তা এখনো জানা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সিঁড়ি দিয়ে উঠছেন অভিনেত্রী। তার পিছনে এক ব্যক্তির হাতে নায়িকার ব্যাগ।

রুমে প্রবেশের আগে ব্যাগ থেকে চাবি খুঁজতেও দেখা যায় আকাঙক্ষাকে। তবে ঐ ব্যক্তির মুখ স্পষ্ট নয়। তবে পুলিশের তদন্ত চলামান রয়েছে বলে জানা গেছে।

ভোজপুরী সিনেমার জগতে আকাঙক্ষা বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। সম্প্রতি তার আগামী সিনেমার শুটিংয়ে বেনারস গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শুটের পরে সারনাথ হোটেলে ফেরত যান আকাঙ্ক্ষা।

তারপরে আর তাকে হোটেল রুমের বাইরে দেখা যায়নি। পরেরদিন সকালে তাকে ডাকতে যান অভিনেত্রী মেকআপ আর্টিস্ট। সাড়া না পেয়ে ভাঙা হয় লক। হোটেলের রুম থেকে উদ্ধার হয় জনপ্রিয় নায়িকার ঝলুন্ত মরদেহ।

উল্লেখ্য, ভোজপুরী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ড্রিম গার্ল খ্যাত এ নায়িকা মির্জাপুরের বিন্ধ্যাচলের বাসিন্দা। পরে মা-বাবার সঙ্গে মুম্বাই চলে যান তিনি। বাবা-মা যখন চেয়েছিলেন মেয়ে আইপিএস হোক, তখন রূপালি পর্দায় নিজের স্বপ্ন পূরণের পথ বেছে নেন আকাঙ্ক্ষা।

‘মেরি জং মেরা ফয়সলা’ নামের একটি সিনেমায় অভিনয়ের পর ‘মুঝসে শাদি করোগি’ (ভোজপুরী), ‘বীরোং কে বীর’, ‘ফাইটার কিং’, ‘কসম পইদা করতে কেআই টু’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। অল্প বয়সেই নিজের জন্য জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে সম্প্রতি কো-স্টার সমর সিংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক অফিশিয়ালি ঘোষণা করেন আকাঙ্ক্ষা।

২০২৩ সালের ভালোবাসা দিবসে একটি পোস্ট শেয়ার করে তিনি নিশ্চিত করেছেন যে তারা ডেট করছেন। আকস্মিক তার মৃত্যুর খবর সামনে আসায় যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না সমরের সঙ্গে। অবশেষে তিনি একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন তিনি মর্মাহত। কিন্তু আকাঙ্ক্ষার মৃত্যুর পরেই সমর সিং ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আকাঙ্ক্ষার মা।

বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পঞ্চগড়ের নৌকাডুবিতে ২১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর

পঞ্চগড়ের নৌকাডুবিতে ২১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর




পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বুধবার পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকার নিহতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বজনদের হাতে এই অর্থসহায়তা তুলে দেন দলটির আমির ডা. মুহম্মদ শফিকুর রহমান। একই সঙ্গে শোকাহত পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানান তিনি।


নৌকাডুবিতে নিহত ৭১ জনের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে করতোয়া নদীর আউলিয়াঘাট পরিদর্শন করেন ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল আলীম, পঞ্চগড় জেলা আমির ইকবাল হোসেন, সাবেক জেলা আমির মাওলানা আব্দুল খালেক, জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
জামায়াতের আমির ডা. মুহম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সামাজিক দায়িত্ব। তা ছাড়া দুঃখের সময় পাশে দাঁড়ানো এক প্রকার সৌভাগ্যও।’

তিনি আরো বলেন, ‘নৌকাডুবির ঘটনাটি একটি বড় মানবিক বিপর্যয়। নৌকা ডুবে এতসংখ্যক মানুষের মৃত্যু দেশের ইতিহাসে বিরল। আমরা নৌকাডুবির পর থেকেই পুরো বিষয়টি আমাদের নজরে রেখেছিলাম। নিহতরা সবাই হিন্দু ধর্মের হলেও আমরা বিষয়টি সেভাবে দেখছি না। আমরা দেখছি মানুষ। আর মানুষ বিপদে পড়েছে, আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। এই সহযোগিতা আমাদের অনুগ্রহ নয়; বরং দায়িত্ব ছিল। আমরা দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি মাত্র। আমরা আশা করব সকলেই এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসবে।’



নৌকাডুবিতে উদ্ধার ৭‌‌১ জনের মধ্যে ৬৯ জনের পরিচয় জানা গেছে। এদের মধ্যে নারী রয়েছে ৩০ জন, শিশু ২১ জন ও পুরুষ ১৮ জন। এর মধ্যে দেবীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা ১৮ জন, বোদা উপজেলার ৪৫ জন, আটোয়ারীর দুজন, ঠাকুরগাঁও সদরের তিনজন ও পঞ্চগড় সদরের একজন।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায় বলেন, ‘একজন মানুষও নিখোঁজ থাকলে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা প্রত্যেক নিখোঁজ মানুষকে উদ্ধার করে অন্তত তাদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে তুলে দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেন তারা তার শেষকৃত্য করতে পারেন।’


নৌকাডুবিতে নিহত ৭১ জনের মধ্যে ৭০ জনই সনাতন ধর্মাবলম্বী। শুধু মাঝি হাশেম আলীই ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। দেবী দুর্গার আরাধনা করার জন্য তারা নদী পেরিয়ে বোদেশ্বরী পীঠ মন্দিরে যাচ্ছিলেন।

সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পতিত জমিতে ধান চাষ করে প্রশংসায় ভাসছেন দেবীগঞ্জ বিএডিসি ফার্ম

পতিত জমিতে ধান চাষ করে প্রশংসায় ভাসছেন দেবীগঞ্জ বিএডিসি ফার্ম





পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ পৌরসভার ০৯ নং ওয়ার্ড নতুন বন্দর এর সর্ব দক্ষিণে ৬৩ একর যায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে দেবীগঞ্জ বিএডিসি ফার্ম।  উক্ত ৬৩ একর যায়গা ইতি পূর্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, দেবীগঞ্জ এর আওতাধীন ছিল। সে সময় উক্ত জমিতে আলু, গম,কাউন চাষ করা হলেও তেমন কোন উল্লেখযোগ্য ফলন চোখে পড়েনি এলাকাবাসীর। বছরের বেশির ভাগ সময় ফাকা পড়ে থাকতো ৬৩ একর জমি। এলাকাসহ আশেপাশের মানুষের কাছে জানা যায় এই জমিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড়, নাম মাত্র চাষ-বাস করলেও তেমন ভালো কোন ফসল করতে পারেনি। কিন্তু গত ১ বছরে বিএডিসি কর্মকর্তা আবু তালেব সেই জমিতে বাম্পার ফলন দেখিয়েছে বলে প্রশংসা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। গত সিজনে আলুর বাম্পার ফলনে ব্যাপক প্রশংসা কুরিয়েছিলেন বিএডিসি কর্মকর্তা আবু তালেব। এলাকার কৃষক শ্রেণি সহ সকল সাধারণ জনগণ মতামত দেন ইতি পূর্বে এমন উচ্চফলনশীল আবাদ তাদের চোখে পড়েনি। আলুর পরে উক্ত জমি পতিত না রেখে সরকারের " ১ ইঞ্চি জমি ও অনাবাদি থাকবে না " এই শ্লোগান কে স্বার্থক ও দেশের খাদ্য সংকটের কথা চিন্তা করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে সরকারের উন্নয়ন স্বার্থে উক্ত ৬৩ একর জমিতে ধান চাষ করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রাথমিক ভাবে এতটা সহজ ছিল না বিএডিসি কর্মকর্তা আবু তালেব এর জন্য প্রথমে উঁচু নিচু জমি সমান করা তারপর পর্যাপ্ত জৈব সার প্রয়োগ সবশেষে তার জন্য সর্বোচ্চ চ্যালেঞ্জ ছিল উক্ত বেলে-দোঁয়াশ মাটিতে সঠিক সেঁচ ব্যাবস্থা পনা। পরিশেষে যখন ধান রোপণ করা হয় সে সময় অনেকেই হাসাহাসি ও টিটকারি করেন এই বলে যে "এই বালুখানত কেংকরি ধান হবে" অর্থাৎ এই বালু জমিতে ধান চাষ করা নেহায়েত বোকামি। কিন্তু সুর পাল্টে গেল ধানের বাম্পার ফলন দেখে  এলাকাবাসীর ভাষায় " আমরা অবাক হয়ে গেছি এমন পতিত জমিতে এত সুন্দর ফসল উৎপাদন হতে পারে তা আমরা কল্পনায় করতে পারি নাই " ৬৫ বছর বয়সী সুলতান আহমদ বলেন আমার বয়স ৬৫ বছর বয়সে জীবনে শুরু থেকে এই পর্যন্ত প্রথমবার এই পতিত জমিগুলোতে ধান চাষ দেখলাম । পতিত জমিতে বাম্পার ফলন দেখতে ভীড় করছেন আশেপাশের সকল কৃষক সহ আসছেন দূরদূরান্তের লোকজন ও সকলের মুখে একই কথা অবাক করার মতো বাম্পার ফলন দেখিয়েছে। বিএডিসি কর্মকর্তা আবু তালেব এর নিকট অনেক কৃষক পরামর্শের জন্য ছুটে আসছেন কিভাবে চাষ করলে এত সুন্দর ফসল হতে পারে।   এলাকার যুবকদের থেকে জানা তারা বেকার ছিল বিএডিসি হওয়ার পরে তাদের কর্মসংস্থান হয়েছে তাদের দাবি বিএডিসি যেখানে পতিত জমিতে বাম্পার ফলন দেখিয়েছে সেখানে তার বীপরিত পার্শ্বে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দেবীগঞ্জ , পঞ্চগড় এর প্রায় ৫০০ একর জমি অনাবাদি পতিত রেখেছে যদি সেই জমিগুলো পতিত না রেখে বিএডিসি কে দেওয়া হতো তাহলে কমপক্ষে ১ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হওয়ার মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন শ্রমিক সাবু, জামিনুর,নুরজামাল,সামিনুর, সহ বিএডিসি তে কাজ করা সকল শ্রমিক উক্ত দাবি কে সমর্থন জানায়। বিএডিসি এর শ্রমিকদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যতদূর দৃষ্টি যায় উর্বর জমি অথচ কোন ফসল নেই গরু-ছাগল চষে বেড়াচ্ছে, সেখানে গরু চরানো কয়েকজনের সাথে মতবিনিময় করে জানা যায় আলু চাষ করা হয়েছিল উক্ত জমি গুলোতে এর পর আর কোন ফসল করা হয় নি আসছে সিজনে আবার আলু লাগানো হবে ততদিন জমি পরে থাকে, একদম ফাঁকা তাই আমরা গরু-ছাগল ঘাস খাওয়ার জন্য নিয়ে আসি। এভাবে জমি পড়ে থাকার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট দেবীগঞ্জ, পঞ্চগড় এর কর্মকর্তা তার দাপ্তরিক কাজে ব্যাস্ত থাকায় সাংবাদিকদের সাথে পরে কথা বলবেন বলে জানায়।

রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিয়মিত প্রকাশ করে যাচ্ছে আজকের বসুন্ধরা ১৭তম বর্ষপূর্তি অনুুষ্টানে -সোহেল রানা

বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ নিয়মিত প্রকাশ করে যাচ্ছে আজকের বসুন্ধরা ১৭তম বর্ষপূর্তি অনুুষ্টানে -সোহেল রানা




জাতীয় দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার ১৭তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে সাংবাদিক মিলনমেলা-২০২২ ইং ২৩ সেপ্টেম্বর রোজ শুক্রবার রাজধানীর পল্টনের আল রাজী কমপ্লেক্সের ৪র্থ তলায় অনুষ্ঠিত হয়। 

দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সাংবাদিক মিলনমেলায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা। 
আজকের বসুন্ধরা ১৭তম বর্ষপূর্তি অনুুষ্টানের সভাপতি সোহেল রানা তাঁর বক্তব্যে বলেন একঝাঁক তরুণ প্রবীণ সাংবাদিকদের সমন্বয়ে কঠোর পরিশ্রম করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রতিবেদ নিয়মিত প্রকাশ করে যাচ্ছে। সকলের সহযোগিতায় পত্রিকাটি পাঠক সমাজে সমাদৃত হচ্ছে। আজকের বসুন্ধরায় যুক্ত সকল প্রতিনিধি আমাদের একটি বিশাল পরিবার গড়ে উঠেছে। পত্রিকাটি পর্যায়ক্রমে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর কাতারে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব ইনশাআল্লাহ, তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।  ২০০৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারী মাসে এসএম শওকত হোসেনের সম্পাদনায় বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে প্রচার প্রকাশনার কাজ শুরু কর1 হয়। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে তিনি মৃত্যুবরণ করায় তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ফরিদ খান,  দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার চীফ রিপোর্টার সাইদুর রহমান বাবুল, চীফ ক্রাইম রিপোর্টার শিবলী সাদিক খান,  এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলা থেকে আগত ব্যুরো প্রধান, স্টাপ-রিপোর্টার, জেলা প্রতিনিধি, বিশেষ প্রতিনিধি, উপজেলা প্রতিনিধি সহ প্রমূখ।

এর আগে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওাত করেন চট্টগ্রাম রিপোর্টার হাফেজ আমানউল্লাহ দৌলত।
আজকের বসুন্ধরা সম্পাদক এসএম শওকত হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আজকের বসুন্ধরা ১৭তম বর্ষপূর্তির কেক কেটে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার ১৭ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকীতে নিয়মিত সঠিক সংবাদ পরিবেশন করে বিশেষ অবদান রাখায় ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সোহেল রানা দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার পরিবারের পক্ষ থেকে একশত পঞ্চাশ জনকে প্রত্যয়নপত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও টি শার্ট, মগ, ক্যাপ, মাক্স, কলম, স্টিকার, চাবির রিং, ফিতা ইত্যাদি উপহার হিসাবে প্রদান করা হয়। 
আলোচনা সভা ও স্বারক প্রদানের পূর্বে মধ্যহ্ন ভোজন ও পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত করা হয়।

মঙ্গলবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চাকরি না পেয়ে হতাশায় ক্ষোভে ফেসবুক ফাইভে এসে সমস্ত একাডেমিক সার্টিফিকেট ছিড়ে ফেলল নীলফামারীর যুবক ।

চাকরি না পেয়ে হতাশায় ক্ষোভে ফেসবুক ফাইভে এসে সমস্ত একাডেমিক সার্টিফিকেট ছিড়ে ফেলল নীলফামারীর যুবক ।




অনেক ঘোরাঘুরি ও চেষ্টার পরও চাকরি না পেয়ে শিক্ষা জীবনের সব সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেছেন এক যুবক। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফেসবুক লাইভে নিজের শিক্ষা জীবনে অর্জিত সব একাডেমিক সার্টিফিকেটগুলো ছিঁড়ে ফেলেন বাদশা মিয়া (৩১) নামের ওই যুবক।

বাদশা মিয়া নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের বাসিন্দা মহুবার রহমানের ছেলে।


জানা যায়, অভাবের সংসারে ছয় ভাই–বোনের মধ্যে সবার বড় বাদশা। ২০১৪ সালে নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তবে অর্থের অভাবে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে পারেননি। বাদশা ২০০৭ সালে জিপিএ ৩.৯২ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে দাখিল, ২০০৯ সালে জিপিএ ৪.০৮ পেয়ে বিজ্ঞান বিভাগে আলিম এবং ২০১৪ সালে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৪.০০ এর মধ্যে ২.৬৬ জিপিএ নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। 

সামাজিক মাধ্যমে সার্টিফিকেট ছেঁড়ার ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে বাদশা বলেন, ‘আসলে আমার ভাগ্যটাই খারাপ! কত মানুষ ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে করে খাচ্ছে। আর আমি এত সার্টিফিকেট নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও একটা সরকারি বা বেসরকারি চাকরি জোটাতে পারিনি। সার্টিফিকেট অনুযায়ী চাকরির বয়স শেষ, এখন এগুলো রেখে লাভ কি? বয়স থাকতেই তো চাকরি জোটাতে পারিনি।’ 


হতাশাগ্রস্থ ওই যুবক আরও বলেন, ‘আমার বাবা খেয়ে না খেয়ে আমাকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা–মা ও ছোট ভাই–বোনদের মুখের দিকে তাকাতে পারি না। বর্তমান সমাজে সবচেয়ে অসহায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষিত ছেলেরা। এরা না পারে চাকরি জোটাতে, আবার অর্থের অভাবে ব্যবসা বাণিজ্যও করতে।’

এদিকে বাদশার বাবা মহুবার রহমান জানান, বয়সসীমা শেষ হওয়ায় বেশ কিছুদিন থেকে হতাশায় ভুগছিল বাদশা। কাউকে না জানিয়ে ও সার্টিফিকেটগুলো ছিঁড়ে ফেলেছে। 

শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল বিক্রি বন্ধ কবে, জানাল বিআরটিএ

ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল বিক্রি বন্ধ কবে, জানাল বিআরটিএ


দেশে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে চালকের লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল বিক্রি ও নিবন্ধন বন্ধ হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

বৃহস্পতিবার বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেমব্লার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বিমামা) পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিআরটিএ গত ৫ জুলাই মোটরসাইকেলের নিবন্ধন পাওয়ার জন্য চালকের লাইসেন্স থাকার শর্ত আরোপ করে। এর আগে, ২০১৯ সালের ১৬ জুন থেকে মোটরসাইকেল কেনার সময় শিক্ষানবিশ লাইসেন্স দেখানোর নিয়ম চালু করা হয়।

বিআরটিএ’র প্রকৌশল শাখার পরিচালক শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিমামার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু শিক্ষানবিশ (লার্নার) লাইসেন্স দেখিয়ে মোটরসাইকেল নিবন্ধনের সময়সীমা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। ১৫ ডিসেম্বর থেকে মোটরসাইকেল কিনতে গেলে চালকের পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স দেখাতে হবে।

বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারাদেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেল আছে ৩৭ লাখ ৯০ হাজার ১৪২টি। নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের মধ্যে শুধু ঢাকায় চলাচল করে ৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৮০টি।